“পশুর চিহ্ন” কি?
আপনি কি জানেন পশুর চিহ্ন কি?
আপনি কি জানতেন যে ঈশ্বরেরও একটি চিহ্ন রয়েছে—এমন একটি চিহ্ন যা তাঁর লোকেদের সনাক্ত করে?
“মার্ক অফ দ্য বিস্ট” বা “পশুর চিহ্ন” কী হতে পারে সে সম্পর্কে মানুষের অনেক ভিন্ন ধারণা আছে। এটা কি একটি বারকোড? এটা কি একটি ইলেকট্রনিক চিপ? ভারতের আধারের মতোই কি এটা একটি শনাক্তকরণ নম্বর? এটা কি আপনার বাহুতে ট্যাটু করা কিছু? নাকি এটা একটি টিকা?
পশুর চিহ্ন সম্পর্কে আপনার নিজস্ব ধারণা থাকতে পারে। কিন্তু আপনি কি নিশ্চিত আপনি সঠিক? আপনি কি কখনও সরাসরি বাইবেল থেকে নেওয়া একটি ব্যাখ্যা দেখেছেন?
উত্তর খুঁজতে অনুগ্রহ করে নিচের অনুচ্ছেদগুলো পড়ুন।
চিহ্ন কোথায় অবস্থিত?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:১৬:
ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, স্বাধীন কিম্বা ক্রীতদাস নির্বিশেষে সকলকেই—সে ডান হাতে কিম্বা কপালে প্রতীকচিহ্ন ধারণ করতে বাধ্য করছিল;
চিহ্ন ছাড়া তাদের কি করার অনুমতি নেই?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:১৭:
ঐ পশুর নাম বা নামসূচক সংখ্যার সীলমোহরে চিহ্নিত না হলে কেউ কেনাবেচা করতে পারবে না।
চিহ্নের ধারকদের কীভাবে শাস্তি দেওয়া হবে?
প্রকাশিত বাক্য ১৪:৯-১১:
এঁদের পরে তৃতীয় আর একজন স্বর্গদূত এসে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করলেন, “কেউ যদি এই পশু ও তার মূর্তির পূজা করে এবং ললাট কিম্বা হস্তে তার প্রতীকচিহ্ন ধারণ করে, তাহলে তাকে পান করতে হবে ঈশ্বরের রোষের অবিমিশ্র সুরা যা ঢালা হয়েছে তাঁর ক্রোধের পানপাত্রে। পবিত্র স্বর্গদূতগণ ও মেষশাবকের সম্মুখে তাকে অগ্নি ও গন্ধকের দ্বারা যন্ত্রণা দেওয়া হবে। যন্ত্রণাদায়ক সেই ধোঁয়া চিরকাল উঠতে থাকবে। যারা সেই পশু ও তার মূর্তির উপাসক, যারা তার নামের প্রতীকচিহ্ন ধারণ করে, দিনে কিম্বা রাত্রে কখনও তারা স্বস্তি পাবে না।
যাদের চিহ্ন থাকবে তাদের সাথে আর কি ঘটবে?
প্রকাশিত বাক্য ১৬:২:
তখন প্রথম দূত গিয়ে পৃথিবীর উপরে তাঁর পাত্রটি উপুড় করলেন। ফলে যারা সেই পশুর প্রতীকচিহ্ন ধারণ করত ও তার মূর্তি পূজা করত, তাদের শরীরে পুতিগন্ধময় বিষাক্ত ক্ষতের সৃষ্টি হল।
ঈশ্বর কিভাবে তার অনুসারীদের পুরস্কৃত করবেন যারা চিহ্ন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে?
প্রকাশিত বাক্য ২০:৪:
এর পরে আমি কয়েকটি সিংহাসন দেখলাম, সেগুলির উপরে যাঁরা উপবিষ্ট চিলেন তাঁদের হাতে বিচারের ভার দেওয়া হল। যীশুর পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য এবং ঈশ্বরের বাণী প্রচারের জন্য যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল এবং যারা সেই পশু ও তার মূর্তির পূজা করেনি, কপালে ও হাতে তার প্রতীক চিহ্ন ধারণ করেনি, তাদের সকলের আত্মা আমি দেখলাম। তারা জীবিত হয়ে সহস্র বৎসর খ্রীস্টের সঙ্গে রাজত্ব করল।
শেষ সময়ে, পুরো বিশ্বকে প্রতারণা ও নিয়ন্ত্রণ করতে দুই ব্যক্তি একত্রিত হবে। তারা কারা?
প্রকাশিত বাক্য ১৯:২০:
সেই পশু বন্দী হল। যে ভণ্ড নবী তার সম্মুখে অলৌকিক কাণ্ড দেখিয়ে ঐ পশুর প্রতীকধারী ও তার মূর্তিপূজকদের প্রতারিত করত, সেও তার রসঙ্গে বন্দী হল। তারা দুজনই জীবন্ত অবস্থায় জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে নিক্ষিপ্ত হল।
কে পশুকে কর্তৃত্ব দেয়?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:৪:
লোকে দানবের পূজা করতে লাগল কারণ সে-ই ঐ পশুকে কর্তৃত্ব দিয়েছিল। তারা সেই পশুরও পূজা করে বলল, “এই পশুর তুল্য কে আছে? কে তার সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে?”
দানব কে?
প্রকাশিত বাক্য ১২:৯:
নিম্নে নিক্ষিপ্ত হল সেই মহাদানব, এ হল সেই আদিম সর্প, দিয়াবল ৩ ও শয়তান নামে যে পরিচিত। বিশ্ব জগতকে সে প্রতারণা করে। সে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হল, তার দূতবাহিনীও তার সঙ্গে হল পতিত।
পশু কি ঈশ্বর বলে দাবি করবে?
২ থিষলনিকীয় ২:৩-৪:
কেউ যেন কোনভাবে তোমাদের প্রতারিত করতে না পারে। কারণ প্রথমে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সেই বিদ্রোহ ঘটবে এবং বিনাশের জন্য নির্ধারিত পুরুষ অর্থাৎ সেই মূর্তিমান অধর্ম প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন আসবে না। সে তথাকথিত ঈশ্বর বা উপাস্য সমস্ত কিছুকে নস্যাৎ করে নিজেকে সব কিছুর উপরে প্রতিষ্ঠিত করবে, এমনকি স্বয়ং ঈশ্বরের মন্দিরের আসীন হয়ে সে নিজেকে ঈশ্বর বলে ঘোষণা করবে।
যিহিষ্কেল ২৮:২ এবং দানিয়েল ১১:৩৭ দেখুন
মানুষ কি পশুর পূজা করবে?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:৪:
লোকে দানবের পূজা করতে লাগল কারণ সে-ই ঐ পশুকে কর্তৃত্ব দিয়েছিল। তারা সেই পশুরও পূজা করে বলল, “এই পশুর তুল্য কে আছে? কে তার সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে?”
যারা পশুর পূজা করে তারা কি প্রথম আদেশ ভঙ্গ করবে?
দ্বিতীয় বিবরণ ৫:৬-৭:
“আমিই তোমার আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর, আমিই মিশরের দাসত্বের আগার থেকে তোমাকে উদ্ধার করে এনেছি। আমি ছাড়া তোমাদের আর কোন ঈশ্বর নেই।”
ভন্ড নবী মানুষকে কি করতে বলবেন?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:১৪:
এইভাবে ঐ প্রথম পশুর সামনে যেসব অলৌকিক লক্ষণ দেখাবার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছিল তা দিয়েই পৃথিবীর মানুষকে এই দ্বিতীয় পশু বিভ্রান্ত করছিল। তরকবারির আঘাতে আহত হয়েও যে পশু বেঁচে গিয়েছিল তারই এক বিগ্রহ নির্মাণ করার আদেশ সে পৃথিবীনিবাসীদের দিল।
মানুষ কি পশুর মূর্তি পূজা করবে?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:১৫:
এবং সেই বিগ্রহ যাতে কথা বলতে পারে সেইজন্য তাতে প্রাণসঞ্চার করার ক্ষমতাও তাকে দেওয়া হল। যারা সেই পশুর মূর্তি পূজা করবে না তাদের সে হত্যা করবে।
মূর্তি পূজা সম্পর্কে দ্বিতীয় আদেশ কি বলে?
দ্বিতীয় বিবরণ ৫:৮-১০:
“তুমি কোন প্রতিমূর্তি ক্ষোদাই বা নির্মাণ করবে না। ঊর্ধ্বে, আকাশে, নিম্নে এই পৃথিবীতে এবং পৃথিবীর নীচে জলে যা কিছু আছে তার কোন কিছুরই প্রতিমূর্তি নির্মাণ করবে না। তাদের সম্মুখে তুমি প্রণিপাত করবে না এবং তাদের পূজা করবে না, কারণ আমি, তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর, আমি এক ও অদ্বিতীয়। সকল গৌরব ও মহিমা আমারই। আমি পিতৃপুরুষদের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের দিয়ে থাকি। যারা আমার বিদ্বেষী তাদের সন্তানদের তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত প্রতিফল দিই; কিন্তু যারা আমাকে ভালবাসে, আমার সকল নির্দেশ পালন করে, বংশ পরম্পরায় তাদের প্রতি আমি করুণা করি।”
ভন্ড নবী কোন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করবে?
মথি ২৪:৪-৫:
তখন যীশু তাদের বললেন, “তোমরা সতর্ক থাকবে কেউ যেন তোমাদের প্রতারিত করতে না পারে। অনেকেই আমার নাম নিয়ে আসবে, আর তোমাদের বলবে, ‘আমিই খ্রীষ্ট’। তারা বহুলোককে প্রতারিত করবে।
ভন্ড নবী কি মেষশাবকের মত আবির্ভূত হবে?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:১১:
এর পর আমি আর একটি পশুকে পৃথিবীগর্ভ থেকে উঠে আসতে দেখলাম। মেষশিশুর মত তার দুটি শিং ছিল, মহাদানবের মত কথা বলছিল সে।
ঈশ্বরের প্রকৃত মেষশাবক কে?
যোহন ১:৩৬:
এবং সেখান দিয়ে যীশুকে যেতে দেখে তিনি বললেন, “ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক!”
যখন পশু এবং ভন্ড নবী খ্রীষ্টের নামে আসবে, তারা কি তৃতীয় আদেশ ভঙ্গ করবে?
দ্বিতীয় বিবরণ ৫:১১:
“তোমার আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বরের নাম তুমি মন্দ উদ্দেশ্যে অযথা উচ্চারণ করবে না, অন্যথায় প্রভু পরমেশ্বর অব্যাহতি দেবেন না।”
ভন্ড নবী কিভাবে মানুষকে ধোকা দিবে?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:১৩-১৪:
সে মহা অলৌকিক কাণ্ড দেখাচ্ছিল, এমন কি লোকজনের সামনে আকাশ থেকে পৃথিবীতে আগুন নামিয়ে আনছিল। এইভাবে ঐ প্রথম পশুর সামনে যেসব অলৌকিক লক্ষণ দেখাবার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছিল তা দিয়েই পৃথিবীর মানুষকে এই দ্বিতীয় পশু বিভ্রান্ত করছিল। তরকবারির আঘাতে আহত হয়েও যে পশু বেঁচে গিয়েছিল তারই এক বিগ্রহ নির্মাণ করার আদেশ সে পৃথিবীনিবাসীদের দিল।
অলৌকিক কাজ করা এই ভন্ড নবীর আরেক নাম কি?
২ থিষলনিকীয় ২:৮-১০:
তখন সেই মূর্তিমান অধর্ম প্রকাশিত হবে এবং প্রভু যীশু তাঁর শ্রীমুখের নিঃশ্বাসে তাকে সংহার করবেন, তাঁর জ্যোতির্ময় আবির্ভাবে সে হবে বিধ্বস্ত; শয়তানের কূটচক্রে মূর্তিমান অধর্ম মিথ্যার যাবতীয় শক্তিশালী অভিজ্ঞান ও অলৌকিক ক্রিয়াকলাপসহ আবির্ভূত হবে। অধর্মের সর্বপ্রকার ছলনার দ্বারা সে ধ্বংস পথযাত্রীদের প্রতারিত করবে। কারণ পরিত্রাণ লাভের জন্য যে সত্যনিষ্ঠা প্রয়োজন তা তাদের ছিল না।
দ্রষ্টব্য: আইনহীন মানে “আইন ছাড়া” বা “আইন ভঙ্গ করা।” অধার্মিকরা মানুষকে ঈশ্বরের আইন ভঙ্গ করতে শেখাবে।
যীশু ১০টি আদেশ সম্পর্কে কি বলেন?
মথি ৫:১৭-১৯:
“মনে করো না যে মোশির বিধান ও নবীদের শিক্ষা বিলোপ করতে আমি এসেছি। বিলোপ করতে নয়, বরং তার পূর্ণ রূপায়ণের জন্যই আমার আগমন। আমি তোমাদের সত্যই বলছি, স্বর্গ-মর্ত্যের অস্তিত্ব যতদিন থাকবে, যতদিন না বিধানের সব কিছুই সার্থক হয়ে উঠবে, ততদিন বিধানের বিন্দুবিসর্গও লোপ পাবে না। অতএব, নৈতিক বিধানের সামান্যতম নির্দেশও যে অমান্য করে এবং অন্যদেরও তা করতে শিক্ষা দেয়, স্বর্গরাজ্যে তার স্থান হবে সবার নীচে। কিন্তু যে তা পালন করে এবং অন্যদেরও পালন করতে শিক্ষা দেয় স্বর্গরাজ্যে সে হবে মহান।
মথি ১৯:১৭:
যীশু তাঁকে বললেন, “সৎ কি? এ সম্বন্ধে তুমি আমাকে প্রশ্ন করছ কেন? একজনই মাত্র সৎ। শাশ্বত জীবন যদি লাভ করতে চাও তবে ঈশ্বরের সমস্ত অনুশাসন পালন কর।”
খ্রীষ্টের শেষ সময়ের অনুসারীরা কি এই ১০টি আদেশ পালন করবে?
প্রকাশিত বাক্য ১২:১৭:
তখন দানব সেই নারীর [ঈশ্বরের চার্চের প্রতিনিধিত্বকারী] প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে তার সন্তান—যারা ঈশ্বরের নির্দেশ পালন করে এবং যীশুর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়—তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সমুদ্রের বালুকাবেলায় গিয়ে দাঁড়াল।
যাদের কাছে পশুর চিহ্ন নেই তাদের সম্পর্কে ঈশ্বর কীভাবে বর্ণনা করেন?
প্রকাশিত বাক্য ১৪:১২:
“পুণ্যাত্মা ব্যক্তি যারা ঈশ্বরের নির্দেশ পালন করে, যীশুর প্রতি বিশ্বাসে অটল থাকে, এখানেই তাদের ধৈর্যের পরীক্ষা হবে।”
দ্রষ্টব্য: প্রকাশিত বাক্য ১৪:৯-১১ এ যাদের পশুর চিহ্ন আছে তাদের শাস্তি বর্ণনা করে। প্রকাশিত বাক্য ১৪:১২-এ যাদের চিহ্ন নেই তাদের বর্ণনা করে। আপনি যদি ঈশ্বরের আদেশ পালন করেন তবে আপনার কাছে পশুর চিহ্ন থাকবে না।
পশুর চিহ্ন কোথায়?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:১৬:
ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, স্বাধীন কিম্বা ক্রীতদাস নির্বিশেষে সকলকেই—সে ডান হাতে কিম্বা কপালে প্রতীকচিহ্ন ধারণ করতে বাধ্য করছিল;
ঈশ্বরের অনুসারীদের কি হাতে এবং কপালে কিছু থাকা উচিত?
দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬, ৮:
এই সমস্ত নির্দেশ যা আমি আজ তোমাদের দিচ্ছি, তোমরা সব মনে রেখো। … এগুলি তোমরা নিদর্শন স্বরূপ হস্তে ধারণ করবে, দুচোখের মাঝখানে ভূষণ স্বরূপ পরিধান করবে।
দ্রষ্টব্য: এখানে মোশি ১০টি আদেশের উল্লেখ করেছেন, যা তিনি দ্বিতীয় বিবরণ ৫-এ ব্যাখ্যা করেছেন। যারা ঈশ্বরকে অনুসরণ করে তাদের হৃদয়ে (তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে), তাদের হাতে (তাদের কর্মের প্রতিনিধিত্ব করে) এবং তাদের কপালে (তাদের চিন্তার প্রতিনিধিত্ব করে) ১০টি আদেশ থাকা উচিত।
চতুর্থ আদেশ কি ঈশ্বরের অনুসারীদের একটি সাক্ষর বা চিহ্ন?
যাত্রাপুস্তক ৩১:১৩
“ইসরায়েলীদের তুমি বল, তারা যেন আমার নির্দেশিত বিশ্রাম দিবস পালন করে। বংশপরম্পরায় তাদের সঙ্গে আমার সম্বন্ধের নিদর্শন হবে এই বিশ্রাম দিবস। তারা জানবে যে আমি প্রভু পরমেশ্বরই তাদের পবিত্র ও পৃথক করেছি।”
যিহিষ্কেল ২০:১২, ২০:
এছাড়াও সাব্বাথ দিনকে আমাদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির প্রতীকরূপে স্থির করলাম, আমি প্রভু পরমেশ্বর তাদের শুচি করেছি, এ কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে।… সাব্বাথ দিনকে পবিত্ররূপে পালন কর, এটিই হবে আমাদের মধ্যে চুক্তি ও প্রতিশ্রুতির প্রতীক। এটিই তোমাদের মনে করিয়ে দেবে যে আমিই তোমাদের প্রভু, তোমাদের ঈশ্বর।
যারা মহাক্লেশ থেকে রক্ষা পাবে তাদের কি ঈশ্বরের চিহ্ন থাকবে?
মথি ২৪:২০-২১:
প্রার্থনা করো, যেন তোমাদের এই পলায়ন শীতকালে বা সাব্বাথ বারে না হয়, কারণ সে সময়ে এমন নিদারুণ দুঃখকষ্ট উপস্থিত হবে যে জগতের আদি থেকে আজ পর্যন্ত যা কখনও হয় নি, যা কখনও হবে না।
যীশু এবং প্রেরিতরা কি বিশ্রামবার পালন করেছিলেন?
লুক ৪:১৬:
তারপর তিনি [যীশু] এলেন নাসরতে, এখানেই তিনি লালিত-পালিত হয়েছিলেন। তাঁর নিজস্ব রীতি অনুযায়ী সাব্বাথ দিনে তিনি সমাজভবনে গেলেন এবং শাস্ত্রপাঠ করবার জন্য উঠে দাঁড়ালেন।
লুক ৪:৩১:
তারপর তিনি [যীশু] গেলেন গালীলের একটি শহর কফরনাউমে। সপ্তাহের শেষ দিনে সেখানে তিনি শিক্ষা দিতেন।৷
লুক ১৩:১০:
কোন এক সাব্বাথ দিনে সমাজভবনে তিনি [যীশু] শিক্ষা দিচ্ছিলেন।
লুক ২৩:৫৬:
তারপর তাঁরা (শিষ্যরা) ফিরে গিয়ে সুগন্ধি মশলা আর তেল তৈরী করলেন। সাব্বাথ দিনের বিধান অনুযায়ী তাঁরা কর্মবিরতি পালন করলেন।
প্রেরিত ১৩:১৪:
আর তাঁরা পর্গা থেকে চলে গেলেন পিসিদিয়ার এণ্টিয়কে। সাব্বাথ দিনে তাঁরা গেলেন ইহুদীদের সমাজভবনে।
প্রেরিত ১৩:৪২-৪৪:
পৌল আর বারনাবাস সমাজভবন থেকে বেরিয়ে আসবার সময় সেখানে উপস্থিত সকলে তাঁদের কাছে আবেদন জানাল যেন পরবর্তী সাব্বাথ দিনে তাদের কাছে তাঁরা এ বিষয়ে আবার বলেন। সমস্ত লোক সভাস্থল থেকে চলে গেলে অনেক ইহুদী ও অইহুদী ভক্ত পৌল ও বারনাবাসের সঙ্গে গেলেন। প্রেরিত শিষ্যদ্বয় তাঁদের ঈশ্বরের করুণার উপর আরও নির্ভরশীল হয়ে জীবনযাপন করেত উৎসাহ দান করলেন। পরবর্তী সাব্বাথ দিনে শহরের প্রায় সমস্ত লোক এসে সমবেত হল ঈশ্বরের বাণী শোনার জন্য।
প্রেরিত ১৬:১৩:
সাব্বাথ দিনে আমরা গেলাম নগরের বাইরে নদীর ধারে। ভেবেছিলাম, সেখানে ইহুদীদের প্রার্থনা করার উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যাবে। সেখানে সমবেত মহিলাদের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা বললাম।
প্রেরিত ১৭:২:
সেখানে গিয়ে পৌল তাঁর রীতি অনুযায়ী তাদের সভায় যোগদান করলেন। পরবর্তী তিনটি সাব্বাথ দিনে তিনি শাস্ত্র আলোচনা ও তর্কের মাধ্যমে,
প্রেরিত ১৮:৪:
প্রতি সাব্বাথ দিনে পৌল ইহুদী সমাজভবনে যেতেন এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ইহুদী ও গ্রীকদের স্বমতে আনতে চেষ্টা করতেন।
হিব্রু ৪:৯-১০:
সুতরাং এর দ্বারা এই বোঝায় যে ঈশ্বরের প্রজাদের সাব্বাথ অর্থাৎ বিশ্রাম এখনও পাওনা রয়েছে। কারণ ঈশ্বর যেমন নিজের কর্ম থেকে বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন তেমনি যে তাঁর কাছ থেকে বিশ্রাম পেয়েছে সেও নিজের কর্ম থেকে বিশ্রাম নেবে।
প্রেরিতরা কি বিশ্রামবারের পরিবর্তে রবিবারকে কখনও বেছে নিয়েছিল?
প্রেরিত ২০:৭ একটি খাবার বর্ণনা করে যা সপ্তাহের প্রথম দিন সন্ধ্যায় শিষ্যদের সাথে পৌল খেয়েছিলেন। হিব্রু সময়ের গণনা অনুসারে, দিনগুলি সূর্যাস্তের সময় শুরু হয়। তাই শনিবার রাতে এই খাওয়া-দাওয়া ও বৈঠক হয়। পরের দিন রবিবার, পৌল বিশ্রাম নেননি বা গির্জার সেবা করেননি—আসলে, রবিবার তিনি ৩০ কিলোমিটারেরও বেশি হেঁটে অ্যাসোসে গিয়েছিলেন (প্রেরিত ২০:১৩-১৪)।
১ করিন্থীয় ১৬:২-এ পৌল করিন্থীয়দের দুর্ভিক্ষের সময় যিহুদাতে পাঠানোর জন্য প্রতি রবিবার কিছু অর্থ পৃথক করে সঞ্চয় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। করিন্থীয়দের চার্চ শনিবারে মিলিত হয়েছিলেন, রবিবারে নয় (প্রেরিত ১৮:৪)।
ক্যাথলিক চার্চ বিশ্রামবার প্রতিস্থাপন করার জন্য কোন দিন বেছে নেয়?
ক্যাটিসিজম ২১৭৫ পড়ুন:
রবিবারকে স্পষ্টভাবে বিশ্রামবার থেকে আলাদা করা হয় যা প্রতি সপ্তাহে এটি কালানুক্রমিকভাবে অনুসরণ করা শুরু হয়; এর আনুষ্ঠানিক পালন খ্রিস্টানদের জন্য বিশ্রামবার হিসাবে প্রতিস্থাপন করে। খ্রিস্টের নিস্তারপর্বে, রবিবার ইহুদি বিশ্রামবারের আধ্যাত্মিক সত্যকে পূর্ণ করে এবং ঈশ্বর মানুষের অনন্ত বিশ্রামের ঘোষণা দেয়। কারণ আইনের অধীনে উপাসনা খ্রিস্টের রহস্য প্রস্তুত করেছিল এবং সেখানে যা করা হয়েছিল তা খ্রিস্টের নির্দিষ্ট কিছু দিককে পূর্বনির্ধারিত করেছিল:
যারা পুরানো জিনিসের ক্রম অনুসারে জীবনযাপন করেছিল তারা একটি নতুন আশায় এসেছে, কিন্তু প্রভুর দিন আর বিশ্রামবার পালন করা নয়, যেখানে আমাদের জীবন তাঁর দ্বারা এবং তাঁর মৃত্যুর দ্বারা আশীর্বাদিত হবে।
দ্রষ্টব্য: ক্যাটিসিজম বাইবেলের অংশ নয়। এটি ক্যাথলিক চার্চের শিক্ষা।
কখন বিশ্রামবার রবিবারে পরিবর্তন করা হয়?
১৩৫ খ্রিস্টাব্দে (খ্রিস্টের মৃত্যুর প্রায় একশ বছর পরে) রোমান সম্রাট হ্যাড্রিয়ান বিশ্রামবারকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন। বিশ্রামবার পালনের শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড । এই চাপের কারণে, অধিকাংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিশ্রামবার পরিত্যাগ করে এবং রবিবার দ্রুত উপাসনার স্বীকৃত দিন হয়ে ওঠে।
১৫৫ খ্রিস্টাব্দের দিকে, খ্রিস্টান শিক্ষক জাস্টিন মার্টিয়ার লিখেছিলেন, “রবিবার হল সেই দিন যেদিন আমরা সকলে আমাদের সাধারণ সমাবেশ করি, কারণ এটিই প্রথম দিন যেদিন ঈশ্বর… বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন” (ফার্স্ট আপলোজি, অধ্যায় ৬৭)।
৩২১ খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাট কনস্টানটাইন একটি আদেশ জারি করে বলেছিলেন, “সকল বিচারক, নগরবাসী এবং কারিগররা সূর্যের সম্মানিত দিনে বিশ্রাম নেবেন” (আয়ার, যোষেফ কুলেন, ১৯১৩-প্রাচীন চার্চের ইতিহাসের একটি উৎস বই। ২.১.১.৫৯জি নিউ ইয়র্ক সিটি: চার্লস স্ক্রিবনার্স সন্স। পৃষ্ঠা ২৮৪-৫)।
৩৬৫ খ্রিস্টাব্দে লাওডিসিয়ার কাউন্সিলে, ক্যাথলিক চার্চ আদেশ দেয়: “খ্রিস্টানদের বিশ্রামবারে বিশ্রাম নিয়ে বিচার করা উচিত নয়, তবে সেই দিনে কাজ করতে হবে, বরং প্রভুর দিনকে সম্মান করতে হবে; এবং, যদি তারা পারেন, তাহলে খ্রিস্টান হিসাবে বিশ্রাম নিন” (ক্যানন ২৯)।
আপনি নীচের লিঙ্কের মাধ্যমে বিশ্রামবার থেকে রবিবার উপাসনার দিন পরিবর্তন সম্পর্কে আরও পড়তে পারেন:
Why Most Christians Worship on Sunday
পশু কি সময় এবং আইন পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে?
দানিয়েল ৭:২৫:
পরমেশ্বরের বিরুদ্ধে সে নানা কথা বলবে। তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বিধিনিষেধ বদলে দেবার চেষ্টা করবে। পরমেশ্বরের প্রজারা সাড়ে তিন বছর তার পদানত থাকবে।
পশুর চিহ্ন কি ভন্ড নবীর দ্বারা বলবৎ হবে, যিনি নিজেকে খ্রিস্টধর্মের নেতা বলে দাবি করবেন?
প্রকাশিত বাক্য ১৩:১৬:
নির্বিশেষে [মিথ্যা ভাববাদী] সকলকেই—ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, স্বাধীন কিম্বা ক্রীতদাস—সে ডান হাতে কিম্বা কপালে প্রতীকচিহ্ন ধারণ করতে বাধ্য করছিল;
উপসংহার
ঈশ্বরের লোকেদের চিহ্ন কী? পশুর চিহ্ন কি? বাইবেল কি বলে? আপনি যদি উত্তর না জানেন তবে আপনার এই পাঠটি আবার পড়া উচিত। আপনি এটি দ্বিতীয়বার পড়লে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে।
পরবর্তী পাঠ: গোগ, মাগোগ, এবং হরমাগেদোন